ডেটা প্রক্রিয়াকরণ এবং ফিচার ইঞ্জিনিয়ারিং

Computer Science - অ্যাজাইল ডাটা সায়েন্স (Agile Data Science) - ডেটা প্রক্রিয়াকরণ এবং এক্সপ্লোরেটরি ডেটা অ্যানালাইসিস (EDA)
256

Agile Data Science-এ ডেটা প্রক্রিয়াকরণ এবং ফিচার ইঞ্জিনিয়ারিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি ধাপ। এই ধাপগুলোতে ডেটাকে প্রক্রিয়াজাত করে মডেল তৈরির জন্য প্রস্তুত করা হয় এবং মডেলের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য প্রাসঙ্গিক ফিচার বা বৈশিষ্ট্য তৈরি করা হয়।

ডেটা প্রক্রিয়াকরণ

ডেটা প্রক্রিয়াকরণ বা Data Processing হলো ডেটাকে প্রাথমিক অবস্থায় প্রাপ্তি থেকে একটি ব্যবহারের উপযোগী অবস্থায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপের কথা বলা হলো:

১. ডেটা সংগ্রহ (Data Collection)

  • কোথা থেকে ডেটা সংগ্রহ করা হবে: ডেটা বিভিন্ন উৎস থেকে আসতে পারে যেমন ডাটাবেস, API, ফাইল সিস্টেম, ইত্যাদি।
  • Agile Framework এ ডেটা সংগ্রহের গুরুত্ব: দ্রুত এবং পুনরাবৃত্তিমূলকভাবে ডেটা আপডেট করার সুযোগ থাকে, যা পরবর্তী ধাপগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

২. ডেটা ক্লিনিং (Data Cleaning)

  • মিসিং ভ্যালু হ্যান্ডলিং: মিসিং ভ্যালু সমাধান করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় যেমন গড়, মিডিয়ান, বা পূর্ববর্তী ভ্যালু দিয়ে পূরণ করা।
  • আউটলায়ার হ্যান্ডলিং: আউটলায়ার বা ব্যতিক্রমী ডেটা মান বিশ্লেষণ এবং প্রয়োজন হলে ফিল্টার করা বা সংশোধন করা।
  • ডুপ্লিকেট রিমুভাল: ডুপ্লিকেট রেকর্ড বা অপ্রয়োজনীয় ডেটা বাদ দেয়া।

৩. ডেটা ট্রান্সফর্মেশন (Data Transformation)

  • স্কেলিং ও নরমালাইজেশন: ডেটা রেঞ্জ একই রাখা এবং সঠিকভাবে মডেলিং এর জন্য ডেটাকে স্কেল করা হয়।
  • ইনকোডিং: ক্যাটেগোরিক্যাল ডেটাকে ইনকোডিং করা, যেমন Label Encoding, One-Hot Encoding, ইত্যাদি।
  • Feature Transformation: লজ, স্কয়ার রুট বা Box-Cox ট্রান্সফর্মেশন প্রয়োগ করে ডেটাকে বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশনে রূপান্তরিত করা।

ফিচার ইঞ্জিনিয়ারিং (Feature Engineering)

ফিচার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মূল লক্ষ্য হলো ডেটাতে লুকায়িত তথ্যগুলো খুঁজে বের করে সেগুলোকে এমনভাবে রূপান্তর করা, যা মডেলের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। Agile Data Science এ, ফিচার ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রুত পুনরাবৃত্তি করে করা হয় যাতে মডেল উন্নয়নে বাস্তব ফলাফল পাওয়া যায়।

১. ফিচার সিলেকশন (Feature Selection)

  • ফিচার সিলেকশন টেকনিক: মডেলের জন্য প্রাসঙ্গিক ফিচার নির্বাচন করা। যেমন, RFE (Recursive Feature Elimination), Variance Threshold, বা Statistical Tests ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ ফিচার নির্বাচন করা।
  • Dimensionality Reduction Techniques: PCA, LDA, ইত্যাদি ব্যবহার করে ফিচার সংখ্যা কমিয়ে আনা যাতে মডেলের উপর লোড কমে।

২. ফিচার ক্রিয়েশন (Feature Creation)

  • নতুন ফিচার তৈরি: বিভিন্ন কলাম থেকে নতুন ফিচার তৈরি করা যায়। যেমন, Timestamp ডেটা থেকে দিন, মাস, বা বছরের তথ্য আলাদা করা।
  • বিভিন্ন ফিচার এর তুলনা করা (Feature Interaction): দুটি বা ততোধিক ফিচারকে মিলিয়ে নতুন ফিচার তৈরি করা, যা মডেলের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রোডাক্ট বা রেশিও ক্যালকুলেশন।

৩. ফিচার স্কেলিং ও স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (Feature Scaling and Standardization)

  • Standardization: ডেটার মean শূন্য এবং standard deviation এক করে।
  • Normalization: ডেটাকে একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জে নিয়ে আসে, যেমন 0 থেকে 1।

৪. Target Encoding বা Mean Encoding

  • ক্যাটেগোরিকাল ফিচারকে টার্গেটের গড় মান দিয়ে রূপান্তর করা। এটি বিশেষ করে ছোট ডেটাসেটের ক্ষেত্রে কার্যকর।

Agile Framework এ ডেটা প্রক্রিয়াকরণ ও ফিচার ইঞ্জিনিয়ারিং

  • Iterative Approach: প্রতিটি ইটারেশনে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ এবং ফিচার ইঞ্জিনিয়ারিং পরিবর্তন বা উন্নত করা হয়, যা মডেলের জন্য কার্যকর ডেটাসেট প্রদান করে।
  • Continuous Feedback Loop: প্রতিটি ফিচার ইঞ্জিনিয়ারিং স্টেপের পরে মডেল ট্রেন করা এবং পারফরমেন্স বিশ্লেষণ করে ফিডব্যাক নেয়া, যা প্রতিটি ফিচার পরিবর্তনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে সাহায্য করে।

এভাবে Agile পদ্ধতিতে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ এবং ফিচার ইঞ্জিনিয়ারিং পরিচালনা করলে দ্রুত এবং আরও কার্যকর মডেল তৈরি করা সম্ভব হয়।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...